
ছবি: ইন্টারনেট
সরকারের পাঁচমন্ত্রী হঠাৎ এক রুদ্ধদার বৈঠক করেছেন। আকস্মিক বৈঠকের পর এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রীরা। তবে বৈঠকে কোটা বিরোধী আন্দোলন, পেনশন নিয়ে মূল আলোচনা হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
সোমবার (৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টায় পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় চলমান কোটা বিরোধী আন্দোলন ও শিক্ষক আন্দোলন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে দুপুর সোয়া একটায় নিজ কক্ষে যান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। এরপর দেড়টার দিকে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সময়ে আসেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার চাপা। তারা দুইজনও যোগ দেন বৈঠকে। এ সময় দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
এক ঘণ্টা বৈঠক শেষে মন্ত্রীরা কার্যালয় ত্যাগ করেন। এসময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের বলেন, সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। রাজনৈতিক, সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। এটা রুটিং বিষয়।
কোটা বিরোধী আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে নয়, সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এমন বৈঠক নিয়মিত হয়।
এরপর শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেগুলো এই মূহুর্তে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনার করার মতো বিষয় না।
কোটা বিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে এই মুহুর্তে কোনো মন্তব্য করবো না। অপেক্ষা করতে হবে। সরকার আপিল করেছে।