শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

Aloava News24 | আলোআভা নিউজ ২৪

উষ্ণ মধুতে বিষ

প্রকাশিত: ০৯:৪৩, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮

আপডেট: ০৯:৪৩, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮

উষ্ণ মধুতে বিষ

মধুও বিষে রূপান্তরিত হতে পারে যদি মেশানো হয় উষ্ণ কোনো খাবারে বা গরম অবস্থায় গ্রহণ করলে। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন ঘরোয়া চিকিৎসায় বা শরীরের উপকারের জন্য মধুর জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এখানে জানানো হল মধু উষ্ণ হলে কী অপকারটা হতে পারে। কুসুম গরম পানি কিংবা দুধে মধু অনেকেই সকালে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করেন। ধারণা করা হয় এতে শরীর চাঙ্গা হয়, দূর হয় দুষিত উপাদান। তবে ভারতীয় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদ রেখা যিতিন বলছেন, “যা আপনি পান করছেন তা বিষ।” শুনে অবাক হওয়ারই কথা। কুসুম গরম পানিতে মধু আর লেবু মানুষ পান করছে বহুকাল ধরে। ওজন কমাতে বিশেষজ্ঞদের দেওয়া সফলতম  উপদেশগুলোর মধ্যে এই মিশ্রণ অন্যতম। তাদের মতে, এটি শরীর থেকে দুষিত উপাদান বের করতে সহায়ক এবং দীর্ঘ মেয়াদে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, মধু কোনো অবস্থাতেই রান্না কিংবা গরম করা উচিত নয়। মধু তার প্রাকৃতিক অবস্থাতেই পুষ্টিকর। মধু গরম অবস্থায় গ্রহণ করলে দেহে ‘আমা’ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এই বিষাক্ত উপাদান হজমের সমস্যা থেকে তৈরি হয়। মধু যেহেতু ধীরে হজম হয়, তাই এ্রর উপাদানগুলো এই ধরনের বিষাক্ত উপাদান তৈরি করে, যা ডেকে আনতে পারে নানান রোগ। একই কথা বাজার থেকে কেনা মধুর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বোতলজাত মধু উচ্চতাপে জ্বাল দেওয়া হয়, ফলে এগুলো স্বাভাবিক ভাবে খাওয়াও বিষাক্ত হতে পারে; সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়াজাতকরণ তো আছেই। তাই বলে মধু খাদ্যাভ্যাস থেকে বাদ দেওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে খেতে হবে মধুর স্বাভাবিক প্রাকৃতিক অবস্থায়, সংগ্রহ করতে হবে এর উৎপত্তিস্থল থেকে। দুধের সঙ্গে মিশিয়ে মধু খেতে চাইলে, দুধ ঠাণ্ডা হওয়ার পর মধু যোগ করতে হবে। মধু গরম না করার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। চিনি আছে এমন যে কোনো খাবার গরম করলে ‘ফাইভ-হাইড্রোক্সিমিথাইলফারফুরাল (এইচএমএফ)’ নামক রাসায়নিক উপাদান তৈরি হয়, যা ক্যান্সারের কারণ হিসেবে বিবেচিত।
শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়