ছবি: ইন্টারনেট
উজানের ঢলে তৃতীয় দফার বন্যায় তলিয়ে আছে সিলেটের বিভিন্ন এলাকা। বানের পানিতে গ্রামের পর গ্রাম ডুবে থাকায় ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলা আবারও প্লাবিত হয়েছে। লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও ভাঙন বাড়ছে। এদিকে ফেনীতে বন্যার পানি কিছুটা কমলেও এখনও পানিবন্দি হাজারো মানুষ।
অতিবৃষ্টি আর উজানের ঢলে সিলেটের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত হচ্ছে। গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, কানাইঘাটসহ বিভিন্ন উপজেলায় বাড়িঘর প্লাবিত হওয়ায় বন্যাকবলিতরা বিপাকে পড়েছেন।
এদিকে, দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানিতে তলিয়ে আছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলার বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তা ঘাট। টানা বৃষ্টিতে কুশিয়ারা, জুড়ী, ফানাই ও আন ফানাই নদী দিয়ে ঢল নেমে বন্যার পানি বেড়েছে।
বন্যা থেকে বাঁচতে নদী, হাওর ও খাল খনন এবং পানি নামার বাধাগুলো সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে অপসারণ করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাবেদ ইকবাল।
পাহাড়ী ঢলে যমুনা নদীর পানি বেড়ে জামালপুরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইসলামপুর উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে আছে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ। কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদ ও ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার সাড়ে চার শতাধিক চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে।
লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলায় পানি কমতে শুরু করেছে। তবে জেলার কালমাটি, হরিণচড়া, খুনিয়াগাছ, রাজপুর, মহিষখোচা, গোবর্ধন, ভোটমারীসহ ১১টি স্থানে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারন করেছে। তবে, গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়ে আছে নিম্নাঞ্চল।
বৃষ্টি কমায় ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে এখনও পানি বন্দী রয়েছে হাজারো মানুষ। এদিকে, রাজধানীসহ সারাদেশে অব্যাহত রয়েছে বৃষ্টি। আরও দু’দিন এমন পরিস্থিতি থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেইসাথে রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।