ছবি: ইন্টারনেট
এ সরকারকে যত দ্রুত সরিয়ে দেওয়া যায় এবং তাদের থেকে দেশের মানুষকে যত দ্রুত মুক্ত করা যায় ততই মঙ্গল। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ‘স্বাধীনতার ৫২ বছর ও বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, এ ধরনের সরকার আপসে ক্ষমতা ছাড়ে না। তাই এ সরকারকে যদি হটাতে হয়, একটি গণঅভ্যুত্থান প্রয়োজন। গণঅভ্যুত্থান তখনই সম্ভব হয়, যখন সব পেশাজীবী সংগঠন, জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে গণঅভ্যুত্থান সফল করে। ইনশাআল্লাহ, সেই গণঅভ্যুত্থান অতিদ্রুত এ দেশে হবে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের জনগণ ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কারণ তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তারা মনে করে, এ সরকার কোনো কিছুই মেরামত করতে পারবে না। সে জন্যই জনগণের মধ্যে এই সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠেছে। গণতন্ত্র যারা হত্যা করেছে, তারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারবে না; যারা হত্যা করে, তারা অর্থনীতি মেরামত করতে পারবে না। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যারা বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে, তারা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজাতে পারবে না। তাই তাদের যত দ্রুত বিদায় করা যায়, ততই জাতি এবং দেশের জন্য কল্যাণকর।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে দেশে গণতন্ত্র নেই, সে দেশে মানবাধিকার থাকতে পারে না। এ দেশে গণতন্ত্র নেই, এ দেশ হাইব্রিড সরকার দ্বারা পরিচালিত। শুধু আমরা বলছি না, আজ সারা বিশ্ব বলছে।’
সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কী যে বিপর্যয় হয়েছে গত ১৪ বছরে, এ মন্ত্রণালয়ে পাঁচ বছর মন্ত্রী থাকার কারণে আমি দেখেছি। এ সেক্টরে কী ছিল, কী হয়েছে; আমাদের কী পরিকল্পনা ছিল, পরে ১৪ বছর কী পরিমাণ বিপর্যস্ত অবস্থা! সরকারি হাসপাতালগুলোতে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না। কীসের জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে?
