
ছবি: ইন্টারনেট
ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসন বন্ধ না করায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের চাপ বাড়ছে ইসরায়েলের ওপর। ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের সংঘাত নিরসনে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান দেখার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বুধবার তিনি বলেন, ফ্রান্সের মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে কোনো ধরনের দ্বি-চারিতা নেই। কূটনীতিক ও বিশ্লেষকরা বলছেনÑ ম্যাক্রোঁ যে ফিলিস্তিনকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে হাঁটছেন, তার সাম্প্রতিক বক্তব্যে তারই ইঙ্গিত মিলেছে। ম্যাক্রোঁ যদি শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয় তাহলে তা তেল আবিবকে ক্ষুব্ধ করবে। একই সঙ্গে ফ্রান্সের এই অবস্থান পশ্চিমা বিশ্বের বিভাজন আরও গভীর করতে পারে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গাজায় ইসরায়েলের বর্ধিত অভিযান নিয়ে গত সপ্তাহেই ফ্রান্স, কানাডা ও যুক্তরাজ্য তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে মধ্য ইউরোপের দেশ মাল্টা।
চলতি সপ্তাহে এশিয়ার কয়েকটি দেশ সফর করছেন ফরাসি এই প্রেসিডেন্ট। তার মধ্যেই ইন্দোনেশিয়ায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধানে দ্বি-রাষ্ট্রের কথা বলেছেন ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেন, কেবলমাত্র রাজনৈতিক সমাধানেই শান্তি ফিরিয়ে আনা ও তা দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী রাখা সম্ভব। ফ্রান্স এ বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে বলেও জানান ম্যাক্রোঁ। সৌদি আরবকে সঙ্গে নিয়ে শিগগিরই গাজা নিয়ে নিউ ইয়র্কে একটি সম্মেলনের আয়োজন করার কথা জানিয়েছেন তিনি। এর আগে এপ্রিলে ফরাসি এ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তার দেশ জুনেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে পারে। এর বদলায় মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশও ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে। বিশ্বের প্রায় ১৫০টি দেশ ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও জাপানসহ শক্তিধর পশ্চিমা দেশগুলো এখনো এই স্বীকৃতি দেয়নি। অন্যদিকে সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, সিরিয়া এবং ইয়েমেনের মতো বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ এখনো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি।
এদিকে, গাজায় হত্যাযজ্ঞ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে জার্মানি। উপত্যকাটিতে নরকযজ্ঞ চালানোয় ইসরায়েলকে প্রকাশ্যে তিরস্কার করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মের্ৎস। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়ে বলেছেন, বার্লিন ইসরায়েলকে অস্ত্র রপ্তানি করবে না, যে অস্ত্র মানবিক আইন ভঙ্গ করে ব্যবহার করা হচ্ছে।