ছবি সংগৃহীত
ভারতের কলকাতায় আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে অব্যাহত রয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি। শনিবার রাতেও প্রতিবাদী জমায়েত হয়েছে বেশ কয়েকটি এলাকাতে। বিভিন্ন রাস্তা দখল করে চলে রাতদখল কর্মসূচী।
চিকিৎসাসেবায় অচলাবস্থা কাটাতে গতকাল শনিবার আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের নিজ বাসভবনে বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে চিকিৎসকদের ৩২ সদস্যের প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যায়। কিন্তু রাত ৯টা পর্যন্ত তিনঘণ্টা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির বাইরে অবস্থান করলেও শেষ পর্যন্ত বৈঠক হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর আন্দোলনকারীরা জানালেন, আলোচনার পথ এখনও খোলা আছে। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আমার স্বচ্ছতা চেয়েছিলাম। সরাসরি সম্প্রচার চেয়েছিলাম। তারা রাজি হয়নি। দুপক্ষকে ভিডিও করতে দেয়ার আবেদন জানিয়েছিলাম বা ওদের করা ভিডিওর কপি চেয়েছিলাম। কিন্তু তাতেও তারা রাজি নয়। তারা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ভিডিও দেয়া হবে। পরে শেষ পর্যন্ত ভিডিও ছাড়া বৈঠকে রাজি হলেও তারা আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানালেন, অনেক দেরি হয়ে গেছে। আর বৈঠক হবে না।
সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার সদিচ্ছা ছিলো না বলে অভিযোগ তুলেন আন্দোলনকারীরা। দেরির অজুহাতে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। পাশাপাশি গুঞ্জনও শোনা গেল যে, টোলা থানার ওসিকে সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে খবর পেয়েই হয়তো মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক ভেস্তে দিলেন। শনিবার রাতেই চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন আরজি কর মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দ্বীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল।
এদিকে, আজ রোববার ফের একবার রাতের সভার ডাক দেয়া হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনায় রাত দখলের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। তবে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তারা, অধিকার ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে তারা বিজেপিকে পাশে চান না।