ভাস্কর শামীম শিকদার।
দেশবরেণ্য ভাস্কর, টিএসসির স্বোপার্জিত স্বাধীনতাসহ বহু বিখ্যাত ভাস্কর্য নির্মাণ করে অনন্য খ্যাতি অর্জন করা শামীম শিকদার আর নেই। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
শামীম শিকদার কার্ডিওভাসকুলার, শ্বাসতন্ত্র এবং কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বুধবার বেলা ১১টায় শামীম শিকদারের লাশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে নেওয়া হবে। তার আগে, তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। পরে মোহাম্মদপুর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে। মৃত্যুকালে শামীম শিকদার ২ সন্তান রেখে গেছেন।
ঢাবির চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক শামীম শিকদার ১৯৯০ সালে টিএসসিতে 'স্বোপার্জিত স্বাধীনতা' এবং ফুলার রোড এলাকায় 'স্বাধীনতা সংগ্রাম' শীর্ষক ভাস্কর্য নির্মাণ করেন।
এর আগে ১৯৭৪ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করেন।
প্রখ্যাত এই ভাস্কর ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক। টিএসসির ‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা’, ফুলার রোডের ‘স্বাধীনতার সংগ্রাম’ সহ বহু বিখ্যাত ভাস্কর্য নির্মাণ করে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। শিল্পকলায় অবদান রেখে বহু সম্মাননা পান তিনি। ২০০০ সালে লাভ করেন ‘একুশে পদক’।
শিক্ষকতা থেকে অবসর নেয়ার পর ইংল্যান্ড চলে যান শামীম শিকদার। পরে আবারও দেশে আসেন। আলোচিত কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা সিরাজ শিকদার ছিলেন তার আপন বড় ভাই। তার প্রয়াণে দেশ একজন গুণী শিল্পীকে হারালো।