শেষ মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে ঢাকার মালিকানা

রাত পার হলেই প্লেয়ার্স ড্রাফট। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো দল সাজানোর কাজে ব্যস্ত। সব দলের মালিক পক্ষ ও টিম ম্যানেজমেন্ট বসেছেন কীভাবে দল সাজাবেন, সেই কাজে। দেশি ও বিদেশি মিলে যারা অটো চয়েজ শেষ করেছেন, তারা ছক কষছেন কীভাবে বাকি দল সাজানো যায়।
ইতোমধ্যে যারা অটো চয়েজে স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে বোলার নিয়েছেন, তারা চাচ্ছেন প্লেয়ার্স ড্রাফটে প্রথম ডাক পেলে ব্যাটসম্যান নিতে। দ্বিতীয় ডাকে একজন ব্যাটিং বা স্পিনিং অলরাউন্ডার দলে ভেড়াতে। এভাবেই চলছে হিসাব-নিকেশ।
এদিকে, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও সিলেট তাদের অটো চয়েজে স্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে বোলার দলে টেনেছেন। কুমিল্লার অটো চয়েজ মোস্তাফিজুর রহমান। তাকে দলে রেখেই সোমবার প্লেয়ার্স ড্রাফটে অংশ নেবে নাফিসা কামালের দল। খুব স্বাভাবিকভাবেই তাদের লক্ষ্য প্রথম ডাকে ব্যাটসম্যান, পরে স্পিনিং বা ব্যাটিং অলরাউন্ডার দলে নেওয়া।
একই কথা প্রযোজ্য হবে চট্টগ্রামের ক্ষেত্রেও। দলটির অটো চয়েজ বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। তারাও ব্যাটসম্যান দলে নিয়ে প্লেয়ার্স ড্রাফট শুরুর অপেক্ষায় অন্যদিকে সিলেটের অটো চয়েজ ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ। তারাও কুমিল্লা-চট্টগ্রামের পথে হাঁটার অপেক্ষায়।
কিন্তু ঠিক এর বিপরীত দিকেরও খবরও আছে। প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে হঠাৎ করেই সংশয় দেখা দিয়েছে ঢাকার মালিকানা নিয়ে। আসন্ন বিপিএলের জন্য ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজি হয়েছিল রুপা অ্যান্ড মার্ন গ্রুপ কনসোর্টিয়াম। কিন্তু জানা যায়, তারা শেষ পর্যন্ত দল পরিচালনায় থাকছে না।
নির্ধারিত সময়ের ভেতর ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ১ কোটি ও প্লেয়ার্স পেমেন্টের ৪ কোটি টাকাসহ মোট ৫ কোটি টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানা হারিয়েছে রুপা অ্যান্ড মার্ন গ্রুপ কনসোর্টিয়াম।
এখন তাদের বদলে কে বা কারা ঢাকার মালিক হবে? কোন কর্পোরেট হাউজ ঢাকার দল পরিচালনায় থাকবে? তা নিয়ে ধোঁয়াশা ক্রিকেটপাড়ায়।
এ বিষয়ে একইসাথে দুধরনের কথা শোনা যাচ্ছে। এক পক্ষ জানাচ্ছে রুপা অ্যান্ড মার্ন গ্রুপ কনসোর্টিয়াম না হলে, বিসিবিই ঢাকার দল চালাবে। সমুদয় অর্থের জোগান দেওয়ার পাশাপাশি বিসিবির ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে ঢাকা।
অন্য এক সূত্র আবার জানায়, চেষ্টা চলছে একটি নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি জোগাড় করার। তবে এত অল্প সময়ে কেউ ৫ কোটি টাকা দিয়ে দল নিতে এগিয়ে আসবে কি না? তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কী হবে? সেটিই এখন দেখার।
আজ ২৬ ডিসেম্বর (রোববার) বিকেলে এ খবরের সত্যতা জানতে বিসিবি ও বিপিএলের শীর্ষ পর্যায়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। বিসিবি সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।