করোনা সনাক্ত হওয়ায় বিমান বন্দর থেকে ১২৩ যাত্রী ফেরত

চট্টগ্রামে রাউজান উপজেলায় এক প্রবাসী রাজু দেশে বেড়াতে আসে। (১১জানুয়ারি) ফিরে যাওয়ার আগের দিন করোনা নেগেটিভ এলেও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আরটিপিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষায় তার পজিটিভ আসে। তাই তাকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়। শুধু রাজু নন, দুই সপ্তাহে এভাবে করোনা পজিটিভ হওয়ায় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে ১২৩ জনকে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আরটিপিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। চারটি প্রতিষ্ঠান এক সাথে এ কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-ঢাকার প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট, ঢাকার ল্যাবএইড লি., লাকসামের মডার্ন হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড ও চট্টগ্রামের শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি (প্রা.) লি।৬ ঘণ্টা আগে যাত্রীদের আরটিপিসিআর ল্যাবে নমুনা দিতে হয়। ৬ ঘণ্টার মধ্যে রেজাল্ট জানানো হয়। করোনা পরীক্ষার জন্য প্রত্যেককে ১ হাজার ৬০০ টাকা করে দিতে হয়।
শাহ আমানত বিমানবন্দর সূত্র জানায়, আরটিপিসিআর ল্যাবে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৯৮০ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১২৩ জনের পজিটিভ ধরা পড়ে। বুধবার ২৩৪ জনের মধ্যে ১৭ জনের পজিটিভ ধরা পড়ে। এছাড়া মঙ্গলবার ২৩২ জনের মধ্যে ১৫, সোমবার ৬৭৩ জনের মধ্যে ৩৪, রোববার ৩৩৯ জনের মধ্যে ১৫, শনিবার ২৪৯ জনের মধ্যে পাঁচ, ১৩ জানুয়ারি ১৮১ জনের মধ্যে ছয়, ১২ জানুয়ারি ২৩৯ জনের মধ্যে ছয়, ১১ জানুয়ারি ১৭৬ জনের মধ্যে চার এবং ১০ জানুয়ারি ৩৯৩ জনের মধ্যে তিনজনের করোনা পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জয়নাল আবেদীন শরীফ গণমাধ্যম বলেন, পরীক্ষায় যাদের করোনা পজিটিভ আসে তাদের বিদেশ যেতে দেওয়া হয়নি।তাদেরকে বিমানের টিকেট ও টাকা ফিরত দেওয়া হবে। সাত দিন পর করোনা নেগেটিভ এলে আবার আবেদন করতে পারবেন।চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী গণমাধ্যম বলেন, পাঁচ ঘণ্টা আগে কোনো ব্যক্তির নেগেটিভ রেজাল্ট আসার পরও ওই ব্যক্তি মাস্ক ছাড়া করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলে তার করোনা পজিটিভ আসতে পারে। করোনায় আক্রান্ত ৮০ শতাংশ রোগীর শরীরে কোনো নমুনা দেখা যায় না।