ইন্দোনেশিয়ার মুসি নদীতে সন্ধান মিলেছে রত্নদ্বীপের

ইন্দোনেশিয়ার মুসি নদীতে পাওয়া রত্নদ্বীপ মূলত হারিয়ে যাওয়া এক সভ্যতারই চিহ্ন।
গুপ্তধন খোঁজার নেশা মানুষের বহুকাল ধরেই। এই নেশায় অস্তিত্বহীন রত্নভাণ্ডারের সন্ধান পেতে ঘর ছেড়ে ভবঘুরে হয়েছেন অনেকে। রূপকথার গল্পের রত্নদ্বীপের সন্ধান অবশেষে পাওয়া গেল। সেই দ্বীপে চলাফেরা করলেও নাকি পাওয়া যায় স্বর্ণসহ বিভিন্ন দামি পাথর।
এত দিন এই দ্বীপের অস্তিত্ব নিয়ে প্রত্নতত্ত্ববিদদের সন্দেহ না থাকলেও ঠিক কোথায় তাকে পাওয়া যাবে তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না তারা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর শেষ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার মুসি নদীর মাঝে ওই দ্বীপের সন্ধান মিলেছে। এর সঙ্গে খোঁজ মিলেছে হারিয়ে যাওয়া এক সভ্যতারও। তবে প্রত্নতত্ববিদরা নয় এই দ্বীপ খুঁজে বের করেছেন স্থানীয় জেলেরা।
কুমিরের জন্য কুখ্যাত ওই নদীতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই এত দিন খোঁজ চালাচ্ছিলেন তারা। দ্বীপটির খোঁজ মেলার পর পাওয়া যায় দামি সব সম্পদ। এরই মধ্যে মূল্যবান পাথর, সোনার গয়না, ব্রোঞ্জের মূর্তি এবং একটি বুদ্ধ মূর্তিও পাওয়া গেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এগুলো সবই শ্রীবিজয় সভ্যতার অংশ। সাত থেকে ১৩ শতক পর্যন্ত রাজত্ব করা প্রভাবশালী এই সভ্যতা রহস্য রেখেই বিলুপ্ত হয়ে যায়। সভ্যতার বিলুপ্তির সঙ্গে সঙ্গে নৌকায় বানানো ঘর, মন্দির, প্রাসাদ আর রত্ন ভাণ্ডার সবই নদীতে ডুবে যায়।
সময়ের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিল এই সভ্যতা। তাঁদের ব্যবহার করা বাসনপত্র, ভাস্কর্য দেখে তা জানিয়েছেন প্রত্নত্তত্ববিদরা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কোনও অগ্ন্যুৎপাত বা বন্যার কারণে হারিয়ে গিয়েছিল প্রাচুর্যশালী এই সভ্যতা।