অসম প্রেমের গল্পে প্রথমবার একসাথে তারিন-সালমান

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তারিন জাহান। একটা সময় নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও শেষ ছ’বছর কমিয়েছেন কাজের সংখ্যা, বাড়িয়েছেন সোশ্যাল অ্যাকটিভিটি।
সালমান মুক্তাদির, মূলত ইউটিউবার হলেও তার পরিচিতি গড়ে উঠেছে ‘ব্যাড বয়’ হিসেবে। অভিনয় বা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে ফুটিয়ে তোলার চেয়ে বিতর্কে জড়াতেই সম্ভবত বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন!
মেধাবী নারীনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, মাত্র ৭দিন আগে (১ জুলাই) প্রচার হয়েছে তার নির্মাণে ৪’শতম নাটক! নিয়মিত কনটিনিউটি ব্রেকের এই মিডিয়ায় সংখ্যার বিচারে একটু অবিশ্বাস্য। নারী নির্মাতা হিসেবে বিষয়টি গর্বের। সময়ের সেরা তারকাদের নিয়ে কাজ করার কারণে নিজেকে পাদপ্রদীপের নিচেই রাখেন সবসময়।
ব্যাখ্যা দেওয়ার কারণ, তিন জনের চলমান অবস্থানই বেশ ভিন্ন। যারা এক হলেন প্রথম। করোনাকাল উপেক্ষা করে নির্মাণে যুক্ত হলেন ভিন্ন কিছু। ফারিয়া হোসেনের চিত্রনাট্যে তুহিন বড়ুয়ার প্রযোজনায় নাটকটির নাম ‘মেঘলা মনের মেয়ে’। যেখানে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে তারিন ও সালমানের অসম প্রেম। বাস্তবেও একে অপরের বয়সের ব্যবধান বেশ!
৮ জুলাই শুটিং ইউনিট থেকে চয়নিকা চৌধুরী জানালেন, তারিন ও সালমান এবারই প্রথম মুখোমুখি হলো। চলছে শেষ দিনের কাজ।
তিনি বলেন, ‘তারিনের সঙ্গে আমার কাজের সংখ্যা প্রচুর। তবুও মনে হচ্ছে এটা আমাদের প্রথম কাজ। কারণ, মাঝের ছয় বছর আমরা দুজনে একহয়ে কোনও কাজ করিনি। সালমানকে নিয়েও এটা আমার ও তারিনের প্রথম কাজ। এরমধ্যে টানা ঘরবন্দি জীবন থেকে বাইরে আসা। মনে হচ্ছে, আমরা বুঝি নতুন জীবনে নতুন পৃথিবীতে আবার নতুন করে শুরু করলাম!’
আসছে ঈদের জন্য নির্মিত হচ্ছে ‘মেঘলা মনের মেয়ে’। যার নাম ভূমিকায় তারিন জাহান। আর প্রেমিক চরিত্রে সালমান মুক্তাদির। আরও অভিনয় করছেন মিলি বাশার ও সামিয়া অথৈ।
টানা ছয় বছর পর তারিনকে শুটিং সেটে পেয়ে একটু বেশিই উচ্ছ্বসিত নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। আগবাড়িয়ে বললেন, ‘ছয় বছর পরে হলেও, সেই পুরনো তারিনকেই পেলাম নতুনকরে। স্ক্রিপ্ট নিয়ে ভাবা, আলোচনা করা, রিহার্সাল করা, কেয়ার করা- সব একই আছে। এটাই হচ্ছে একজন জাতশিল্পীর ধরন।’
প্রসঙ্গত,চয়নিকা চৌধুরীর সঙ্গে তারিন জাহানের শেষ নাটক ছিল ‘এক পথে পা’। ২০১৪ সালের অক্টোবরে নির্মিত এই নাটকটিতে তারিনের বিপরীতে ছিলেন অপূর্ব।